Bashbaria Sea Beach, Shitakondo, Chittagang


চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলা এর অসংখ্য ঝর্ণা, ঝিরিপথ, পাহাড় এবং সমুদ্র সৈকতের জন্য প্রসিদ্ধ। এ তালিকায় নতুন সংযোজন উপজেলার বাঁশবাড়িয়া বাজারের নিকটবর্তী বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত।

 

স্থানটির মূল আকর্ষন সৈকত হতে সমুদ্রের আধা কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ একটি ব্রীজ। লোহা এবং প্লাস্টিক দিয়ে নির্মিত ব্রীজটি ভাটার সময় সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হলেও, জোয়ারের সময় পানিতে ডুবে যায় এবং সমুদ্রের ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার অনুভূতি তৈরি করে। মূলত স্থানীয় মানুষদের সন্দীপ যাতায়তে সুবিধার কথা চিন্তা করেই ব্যক্তি মালিকানাধীন পর্যায়ে ব্রীজটি তৈরি করা হলেও বর্তমানে পর্যটকদের নিকট চট্টগ্রামের অন্যতম আলোচিত স্থান হয়ে উঠেছে এটি। ব্রীজ ছাড়াও এর দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত এবং ঝাউবাগান পর্যটকদের মুগ্ধ করতে যথেষ্ট।

 

যেভাবে যাবেন: ঢাকা হতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাঁশবাড়িয়া বাজার নামক স্থানে নামতে হবে। এটি সীতাকুন্ড বাজার এবং বড় কুমিরার মাঝামাঝি একটি স্থান। বাজারে নেমে রাস্তার বিপরীত দিকে অবস্থিত বাজার হতে লোকাল সি এন জি তে অথবা রিজার্ভ সিএনজি তে পৌছানো যাবে বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে।

ড্রাইভারকে ঘাটে যাবো বললেই হবে। ভাড়া লোকাল সিএনজি ২০ টাকা এবং রিজার্ভ ১০০ টাকা। সিএনজি আপনাকে নামিয়ে দেবে বেড়ি বাঁধে, সেখান থেকে সামনে তাকালেই দেখা মিলবে সমুদ্রের। ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে আসলে তা বেঁড়িবাধের উপরে রেখে আসা সম্ভব। ব্যক্তিগত যানবাহনের জন্য রাস্তা যথেষ্ঠ ভালো।

চট্টগ্রাম হতে: চট্টগ্রামের একে খান অথবা অলঙ্কার হতে সীতাকুন্ডগামী যে কোন লোকাল বাসে উঠে নেমে পড়তে পারেন বাঁশবাড়িয়া বাজারে, ভাড়া ৩০ টাকা। সেখান হতে বাম পাশে অবস্থিত রাস্কা ধরে আগের উপায়ে পৌছে যেতে পারবেন

থাকা/খাওয়া: পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও জায়গাটি এখনো যথেষ্ঠ অনুন্নত। থাকা অথবা খাবারের ভালো ব্যবস্থা নেই। বাঁশবাড়িয়া বাজারে কিছু নিম্নমানের খাবার হোটেল রয়েছে। তাই তুলনামুলক ভালো খাবারের জন্য সীতাকুন্ড বাজারে চলে আসাই শ্রেয়। বাঁশবাড়িয়ায় কোন আবাসিক হোটেল নেই, সীতাকুন্ড বাজারে থাকার জন্যে কিছু নিম্নমানের আবাসিক হোটেল রয়েছে।


আরো যা দেখতে পারেন: বাঁশবাড়িয়া হতে অল্প দূরত্বেই রয়েছে কুমিরা ঘাট, সমুদ্রের উপরে নির্মিত দীর্ঘ একটি ব্রীজ এখানেও আছে। এর বাইরে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত অথবা সীতাকুন্ড ইকোপার্ক ও রয়েছে অল্প দূরত্বেই ।