দিল্লীর আখড়া,মিঠামইন,কিশোরগঞ্জ


দিল্লীর আখড়া।নাম শুনেই মনে হতে পারে এটা বুঝি ভারতের কোন স্থান বা কোন স্থাপত্য বা অন্য কিছু।কিন্তু না;এটা কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত হিন্দু ধর্মাবল্মীদের একটা উপাসনালয়।এটি এ জেলার প্রাচীন ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় অনুভূতিকে ধারন এবং লালন করে চলেছে যুগ যুগ ধরে। এটি মোঘল স্থাপত্যের এক অনন্য অসাধারণ নিদশণ।

 

 

আখড়ার সম্মুখ অংশ

 

সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় সাধক নারায়ন গোস্বামী নামে বিশাল এই এলাকা লাখারেজ দিয়ে এই আখড়া প্রতিষ্ঠা করেন।সেই থেকে এই আখড়াটি দিল্লীর আখড়া নামে পরিচিত।সম্রাট জাহাঙ্গীর ১২১২ খ্রিস্টাব্দে আখড়ার নামে একটি তামার পাত্রে এই জমি লিখে দেন।১৩৭০ খ্রিস্টাব্দের দিকে তামার পাত্রটি ডাকাতরা চুরি করে বলে জানা যায়।

 

আখড়ার পশ্চাদাংশ

 

পশ্চিমমূখী আখড়ার পশ্চিম পার্শ্বে এবং উত্তর পার্শ্বে রয়েছে গাছপালায় বেষ্টিত নয়নাভিরাম দুইটি শান বাধাঁনো পুকুর।”কিশোরগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য” গ্রন্থের লেখক মু.আ.লতিফ উল্লেখ করেন আখড়ার চারপাশের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে রয়েছে ৩০০০ (তিন হাজার) হিজল গাছ।যার সৌন্দর্যে আখড়ার সৌর্ন্দযকে বৃদ্ধি করেছে বহুগুনে।তবে হিজল গাছের ডালপালায় করাতের আচঁড় পরায় সৌন্দর্যে কিছুটা ম্লান হয়েছে।তারপরও বৃক্ষরাজি ভরা বর্ষায় মাথা উুঁচিয়ে দাড়িঁয়ে আছে-এ দৃশ্য যেকোন পর্যটকের নজর কাড়তে পারে।

 

 

নয়নাভিরাম হিজল গাছের সমারোহ

 

যাতায়াত ব্যবস্থা: কিশোরগঞ্জ সদর থানাধীন পুরাতন থানা (একরামপুর)সি এন জি স্ট্যান্ড হতে সিএনজি যোগে জন প্রতি ৪০/= ভাড়ায় ৪০/৪৫ মিনিটে করিমগঞ্জ থানাধীন ন্যামতপুর এলাকাস্থ চামটা বন্দর পৌছানো যাবে।চামটা বন্দর হতে লঞ্চযোগে জন প্রতি ৫০/= ভাড়ায় ১ ঘন্টা ৩০মিনিটে মিঠামইন লঞ্চঘাট যাওয়া যাবে।মিঠামইন লঞ্চঘাট হতে নিবটবর্তী দূরত্বে মিঠামইন উপজেলা পরিষদ।মিঠামইন লঞ্চঘাট হতে ইঞ্জিন চালিত নেীকাযোগে দেড়/দুই ঘন্টায় ৬০০/৮০০ টাকা(যাওয়া-আসাসহ) ভাড়ায় পেীছানো যাবে কাঙ্ক্ষিত দিল্রির আখড়ায়।গ্রীষ্ম মৌসুমে আরো সময় বেশি লাগতে পারে।দিল্লীর আখড়া দেখতে চাইলে হাতে সময় নিয়ে কিশোরগঞ্জ হতে পুরো একদিনের প্রস্ততি নিতে হবে।

 

অবাসিক ব্যবস্থা: উল্লেখিত স্থানে আবাসনের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। তবে কিশোরগঞ্জ সদর পৌরসভায় গাংচিল, উজানভাটি, নিরালা, ক্যাসেল সালাম নামে চাইনিজ ও আবাসিক হোটেল এর ব্যবস্থা রয়েছ। অবস্থানঃ গৌরাঙ্গবাজার, কিশোরগঞ্জ।