খানখানাবাদ সমুদ্র সৈকত, বাশঁখালী , চট্টগ্রাম


চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেই রয়েছে বিচ্ছিন্ন ভাবে অনেকগুলো সমুদ্রসৈকত। মূল শহরের পাশেই অবস্থিত পতেঙ্গা এবং হালের ক্রেজ বাঁশবাড়িয়া বা গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত। তবে এসবের এসবের যদি একেবারে নির্জন কোন সমুদ্র সৈকত বসে সময় কাটাতে চান তবে অবশ্যই আসতে হবে বাঁশখালীর খানখানাবাদ সমুদ্র সৈকতে।

 


 

তবে কেবল নির্জনতাই নয়… চট্টগ্রামের আর কোন সমুদ্রের পাশেই এতো দীর্ঘ সৈকত নেই! তাই খুব সহজেই এই সৈকতকে তুলনা করা যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সাথে। সৈকতের পাশেই দীর্ঘ ঝাউবাগান সেই মিলটাকেই যেন আরো প্রকট করে তুলেছে। তবে এই সমুদ্র সৈকতে পা ভেজাতে চাইলে একটু কষ্ট করতে হবে, খালি পায়ে একশো মিটার মাটিতে হেটে দেখা পাওয়া যাবে পানির।

 

 

সৈকতের পাশেই নতুন করে বাঁধের জন্য বসানো হয়েছে পাথুরে ব্লক। এখানে বা বালুর সৈকতে বসে দেখা সূর্যাস্তের সাথে মিল পাবেন না অন্য কোন জায়গার। দলবেঁধে গেলে নেমে পড়তে পারেন ক্রিকেট বা ফুটবল খেলতেও। মানুষ জনের আনাগোনা কম থাকলেও নিরাপত্তার অভাব বোধ করবেন না।একদিকে কক্সবাজারের মতো দীর্ঘ সৈকত আর ঝাউবাগান এবং অন্যদিকে চট্টগ্রামের হালিশহর বীচের মতো কাদা মাটির সৈকত… দুটোর অপূর্ব সমন্বয়ই খানখানাবাদ সমুদ্র সৈকতকে বাংলাদেশের বাকি সব সৈকত হতে একেবারে আলাদা বৈশিষ্ট্য দিয়েছে।

 

 

যেভাবে যাবেন: ঢাকা বা বাংলাদেশের যে কোন স্থান হতে প্রথমে আসুন চট্টগ্রামের নিউমার্কেট হতে বহাদ্দারহাট বাস টার্মিনালে। এখান হতে বাঁশখালী যাবার বাসে উঠে নেমে পড়ুন গুনাগরি নামক স্থানে। রাস্তা চমৎকার এবং জ্যাম মুক্ত হওয়ায় ঘন্টাখানেক এর বেশী সময় লাগবে না। ভাড়া নেবে ৫০/৬০ টাকা। সেখান থেকে রাস্তার ডানে হতে লোকাল সিএনজিতে চলে আসুন মোশাররফ আলি মিয়ার বাজার। ভাড়া প্রতিজন ২৫ টাকা। একটু সামনে এগিয়ে ডানে মোড় নিয়ে বাম পাশে দাড়িয়ে থাকা সিএনজিকে বেড়িবাঁধ বা সী বীচ বললেই পৌছে দেবে এখানে। ভাড়া প্রতিজন ১০ টাকা। ব্যাক্তিগত যানবাহন রাখবারও যথেষ্ঠ জায়গা রয়েছে।

 

 

কোথায় থাকবেনঃ দুপুরে গিয়ে বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসতে পারবেন। তাই আবাসিক হোটেলে থাকার প্রয়োজন নেই।তবে পুরো একদিনের প্রস্তুতি নিয়ে সপরিবারে বা সবান্ধবে বেড়িয়ে আসতে পারেন খানখানাবাদ সমুদ্র তট হতে।
বি: দ্র: সৈকতের আশে পাশে তেমন কোন দোকান নেই, তাই প্রয়োজনীয় খাবার এবং পানি সাথেই নিয়ে যাবেন।

 

আরো যা দেখতে পারেনঃ সৈকত ধরে উত্তরে এগিয়ে গেলে পাবেন বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত। কাছাকাছি আরো রয়েছে চানপুর-পুকুরিয়া চা বাগান এবং বাঁশখালী ইকো পার্ক।