মুক্তিযোদ্ধ ও স্বাধীনতার স্মৃতি স্মারক, তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ


বর্ষার প্লাবিত জল শুকালেই ফসলি জমি, ধুলোউড়া মেঠোপথ তাড়াইলের চিরচেনা পট। হিজল-তমাল ভূমি তাড়াইলের আছে স্বাধীনতার সগর্ব ইতিহাস। মুক্তিযোদ্ধ ও স্বাধীনতার স্মৃতি স্মারক চেতনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্বাধীনতা ‘৭১ ভাস্কর্য নির্মিত হয়। জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ৩৬ ফুট উচ্চতা ও ৩০ ফুট প্রশস্ত ভাস্কর্যের নির্মাণ করে তাড়াইলের দমিহা গ্রামের ভাস্কর সুষেণ আচার্য্য। এতে সুউচ্চ বেদির ওপর দুজন রাইফেলধারী পুরুষ মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় পতাকা হাতে একজন নারী মুক্তিযোদ্ধার অবয়ব। নিচের দিকে চতুষ্কোণ বেদির দুই পাশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল আর দুই পাশে সাত বীরশ্রেষ্ঠর ম্যুরাল। তাড়াইলের ভাস্কর্যটি নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। ভাস্কর্যটির প্রায় দেড় শত ফুট দূরে একটি মাদ্রাসা ও মসজিদ রয়েছে। ঐ দিকে নারী অবয়ব তেরী করা হলে এলাকাবাসীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আপত্তি ছিল। প্রায়ই এর সামনে মরদেহের জানাজা পড়ানো হয়। সবশেষে সিদ্ধান্ত হয় ভাস্কর্যের নারী মুক্তিযোদ্ধার অবয়ব আর মাদরাসার দিকে ফেরানো থাকবে না, অন্যদিকে দিকে স্থাপন করা হবে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা : তাড়াইল বাস টার্মিনাল থেকে ইজিবাইক, রিক্সায় অল্প সময়ে যাওয়া যায়।

আবাসন ব্যবস্থা : তাড়াইল ডাকবাংলো ছাড়া আবাসিক কোন ব্যবস্থা নাই। তবে কিশোরগঞ্জ শহরের বড় বাজারে ক্যাসেল সালাম(চায়নিজ ও আবসিক), রথখলা রোডে নিরালা টাওয়ার এবং স্টেশন রোড়ে রিভার ভিউ, উজান ভাটি, গাংচিল, হোটেল বোম্বে, হোটেল শ্রাবণী, হোটেল আল মোবারকসহ বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।

Privacy Preference Center

Necessary

Advertising

Analytics

Other