শহিদী মসজিদ কিশোরগঞ্জ


 

মুগ্ধকর নির্মাণশৈলী আর সুউচ্চ মিনার।মসজিদটির আরেকটি বিশেষত্ব হলো অসংখ্য পিলারে ইপর স্থাপিত। মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ১২৮টি পিরার রয়েছে। মহীদী মসজিদের নামকরণের পেছনে একটি রক্তাক্ত ঘটনা রয়েছে। এ অঞ্চলের মুসলিম সমপ্রদায়কে এখনো আলোড়িত এবং উদ্বেলিত করে তুলে।

 

১৯৪০ সালে ২৪ অক্টোবরে প্রখ্যাত আলেম হযরত মাওলানা আতহার আলীর হাতে সবে মসজিদটির সংস্কার শুর্ব হয়েছে। প্রথানুযায়ী হিন্দু সমপ্রদায় প্রতিবছরের মতো সে বছরও এ মসজিদের সামনের সদর রাস্তা দিয়ে দূর্গাপূজা শেষে তাদের বিগ্রহ মিছিল বাজনা বাজিয়ে নিতে চায়। মুসলিম সম্প্রদায় এতে বাধা দিয়ে বলে এ পথে বিগ্রহ নেয়া হলেও মসজিদের সামনে এসে বাদ্য-বাজনা বাজানো চলবে না। কিন্তু কোন পৰই ছাড় দিতে নারাজ। নির্দিষ্ট সময় যতোই এগিয়ে আসতে থাকলো ততোই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বৃটিশ সরকার এলাকায় গুর্খা সৈন্য মোতায়েন করে।

 

রাত ৮টায় চরম মুহুর্ত ঘনিয়ে আসে এবং সৈন্যদের গুলিতে লুটিয়ে পড়েন বেশ কয়েক জন মসজিদের মুসলিৱ।ঘটনার স্থলেই দু’জন মৃত্যুবরণ করেন এবং তিনজন হাসপাতালে পাঠানোর ফথে মমৃত্যুবরণ করেন।
এ বিয়োগান্ত ঘটনার খবর সারাদেশে মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন মুসলিম ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। বিশিষ্ট আলেমগণ নিহতদের ইসলামের নামে শহীদ বলে আখ্যায়িত করেন। সেই থেকে পুরানথানার এ মসজিদটি শহীদী মসজিদ নামে প্রতিষ্ঠা পায়। এই ঘটনায় যারা শহীদ হন তারা হলেন- আছির উদ্দিন, মানিক মিয়া, কালার বাপ ও নেহাল মিয়া। শহীদী মসজিদটি ক্রমশই প্রসারতা, খ্যাতি ও মর্যাদা লাভ করছে।

 

 

কিভাবে যাওয়া যায়: গাইটাল বাস টামির্নাল থেকে ইজিবাইক, রিক্সায় যাওয়া যায়।