মরুদ্বীপ ‘৭১ স্বাধীনতা পার্ক লি:, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ


 

নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাকে তুলে ধরতে ২০১০ সালে অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান ইকবালের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলা থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত গ্রামে মরুদ্বীপ ৭১ স্বাধীনতা পার্ক গড়ে তুলেন। দাবি করা হয়, স্মৃতি বিজড়িত ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এই পার্কটি দেশে প্রথম নির্মিত হয়।

 

 

পার্কের প্রবেশ পথে প্রথিতযশা ভাস্কর মৃণাল হকের তৈরি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। ভেতরে প্রবেশ করলে চোখ চলে যায় মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের স্মরণে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ দুর্বার। বীরশ্রেষ্ঠ ল্যাফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে বিজয় সেতু নামে একটি সেতু। সেতুটির সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই চোখে পড়বে দর্শনার্থীদের জন্য মুক্তবাংলা নামে একটি বিশ্রামাগার। আর সেতুটিতে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে আছে তিনজন মুক্তিসেনা ও মুক্তবাংলা ঘরে উপরে অস্ত্র হাতে আরেক মুক্তিসেনা এবং বাংলার লাল সবুজের পতাকা। সেতুর নিচে রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি পুকুর। পার্কের পশ্চিম দিকের পুকুর পাড়ে রয়েছে (নির্মাণাধীন) মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চার নেতার প্রতিকৃতি।এ পুকুরের মধ্যে বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি আদলে করা হয়েছে ‘উৎসব দ্বীপ’ নামে একটি বিশ্রামাগার। বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে উৎসব দ্বীপে যেতে হয়। দ্বীপটি প্রবেশদ্বারের মৎস্যকন্যা, বক ও পেঙ্গুইনের ভাস্কর্যসহ নানা বৈচিত্র্য রয়েছে।

 

জাতীয় চার নেতা এএইচএম কামারুজ্জামান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মো. মনসুর আলী এবং জাতির পিতার মনোরম প্রতিকৃতি, প্রতিটি প্রতিকৃতির ওপর উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা। পার্কজুড়ে আছে বিরল প্রজাতির শত শত গাছ।গাছের গায়ে কোন গাছের নাম এবং দেশের গাছ লেখা রয়েছে । ভেতরে শিশুদের জন্য দৃষ্টিনন্দন শিশু উদ্যান। চরকি, দোলনা, সুদৃশ্য ব্রিজ,প্যাডেলচালিত বোট ।

২০১০ সালের ৩০ মার্চ প্রয়াত বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী ‘মরুদ্বীপের-৭১ স্বাধীনতা পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

 

 

যাতায়াত: কটিয়াদি বাজার থেকে ইজিবাইক, মোটরবাইকে যাওয়া যায়।