চন্দ্রনাথ মন্দির,সীতাকুন্ড,চট্টগ্রাম


চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলায় অবস্থিত চন্দ্রনাথ পাহাড় হিন্দু ধর্মাবলম্ববীদের জন্য যেমন একটি অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান, তেমনি ভ্রমন পিপাসুদের নিকট চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান একটি আকর্ষন। সীতাকুন্ডের সর্বোচ্চ পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দিরে পৌছানোর পাহাড়ী রাস্তা ছোট খাটো অ্যাডভেন্চার এর জন্য উপযুক্ত একটি স্থান।জনশ্রুতি মতে, বনবাসের সময় রামচন্দ্রের স্ত্রী সীতা এই কুণ্ডে গোসল করেছিলেন এবং সেই থেকে এই স্থানের নাম সীতাকুণ্ড।কথিত আছে, নেপালের এক রাজা ঘুমের মধ্যে পৃথিবীর পাঁচ স্থানে শিবমন্দির স্থাপনের আদেশ পান। স্বপ্নে আদেশ পেয়ে নেপালের সেই রাজা পৃথিবীর পাঁচ স্থানে পাঁচটি শিবমন্দির স্থাপন করেন। এগুলো হলো- নেপালের পশুপতিনাথ, কাশিতে বিশ্বনাথ, পাকিস্তানে ভূতনাথ, মহেশখালীর আদিনাথ এবং সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির।

 

সীতাকুন্ড বাজার হতে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্থানের মূল প্রবেশ গেট দিয়ে ঢোকার পরেই ডানে চোখে পড়বে একটি সিড়ি। সিড়ি দিয়ে নিচে নামলেই চোখে পড়বে সীতা মন্দির এবং তার পার্শ্ববর্তী ঝর্ণা। পুনরায় সিড়ি দিয়ে উপড়ে উঠে আরো দুটো মন্দিরের পাশের রাস্তা দিয়ে পাহাড়ী পথ পেরুলে সামনে পড়বে দ্বিতীয় ঝর্ণাটি। এই স্থান হতেই মন্দিরে ওঠার সিড়ি দুদিকে চলে গেছে। বামের রাস্তার অধিকাংশ সিড়ি অক্ষত না থাকলেও তুলনামূলক ভাবে এই রাস্তা দিয়ে মন্দিরে ওঠাটাই সহজতর, আর পাহাড় থেকে নিচে নামার সময় ডানদিকের সিঁড়িওয়ালা পথটিই সহজ। তাছাড়া বামের পথ দিয়ে গেলেই শুধুমাত্র চন্দ্রনাথের নিচে অবস্থিত বিরুপক্ষ মন্দিরটি পথেই পড়বে।

 

সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে প্রায় ১২০০ শত ফুট উপরে অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দিরে পৌছালেই এক নজরে দেখে নিতে পারবেন পুরো সীতাকুন্ড শহরটি। তিন দিকে সুউচ্চ পাহাড় এবং পশ্চিমে সুবিশাল বঙ্গোপসাগরের জলরাশি যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। বর্ষাদিনে সুযোগ মিলবে মেঘেদের ছুয়ে দেখারও। আর রাস্তায় নানা প্রকারের গাছ, সুপ্রাচীন বৃক্ষ এবং পাহাড়ী মানুষদের জীবনযাত্রার ধারনা মিলবে।

 

যেভাবে যাবেন: ঢাকা হতে চট্টগ্রাম গামী যেকোন বাস হতেই নামতে পারবেন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড বাজারে। মূল হাইওয়ে হতে পূর্ব দিকে নামলেই পেয়ে যাবেন সীতাকুন্ড বাজার। একটু এগিয়ে গেলেই পূর্বদিকগামী রাস্তাটিই চন্ত্রনাথে যাবার রাস্তা। ইজিবাইকে জন প্রতি ১৫/২০ টাকায় পৌছে যেতে পারবেন পাহাড়ে ওঠার আগের মূল ফটকে। ব্যক্তিগত যানবাহনের ক্ষেত্রে নিচে অবস্থিত মূল মন্দিরের পাশেই গাড়ি রাখার বড় একটি মাঠ রয়েছে…

 

থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা: সীতাকুন্ড বাজারেই খাবার জন্য মোটামুটি মানের বেশকিছু খাবারের দোকান রয়েছে। জিলাপি এবং মিষ্টি খাবারের জন্য আদর্শ স্থান বলা যায় এ বাজারকে। দুপুরের খাবারও পাওয়া যাবে এসব হোটেলে। বাজারের পাশে দু-একটি আবাসিক হোটেল থাকলেও, রাতে থাকার ইচ্ছে থাকলে চট্টগ্রামে চলে আসাটাই ভালো হবে।

 

point to be noted: অতি অবশ্যই সাথে করে প্রচুর পরিমানে পানি নিয়ে যাবেন। ওঠার পথে কিছু ছোট খাটো দোকানে পানি পাবেন, তবে তার জন্য দিতে হবে উচ্চ মূল্য।

 

Privacy Preference Center

Necessary

Advertising

Analytics

Other